জেনেটিক রোগ কাদের বেশি হয় জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, জেনেটিক রোগ কাকে বলে সে সম্পর্কে আমরা পূর্বের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং সেই আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি যে, জেনেটিক রোগ কি। তো সেই আর্টিকেলে অনেকে জানতে চেয়েছেন যে, এই ধরনের জেনেটিক রোগ কাদের বেশি হয়। অর্থাৎ এমন কোন ধরনের মানুষ আছে। যাদের এই ধরনের জেনেটিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আজকের এই আর্টিকেলে আমি এই বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাহলে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
Table of Contents
জেনেটিক রোগ কি?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যে রোগ গুলো বংশানুক্রমে একের পর এক মানুষের মধ্যে দেখা যায়। সেই রোগ গুলো কে বলা হয়ে থাকে, জেনেটিক রোগ। মূলত এ ধরনের রোগ হওয়ার প্রধান কারণ হলো জিনে মিউটেশন। যার ফলে এই ধরনের জেনেটিক রোগ বংশানুক্রমে হয়ে থাকে।
জেনেটিক রোগ কাদের বেশি হয়?
তো যারা আসলে জানতে চান যে, জেনেটিক রোগ কাদের বেশি হয়। তাদের উদ্দেশ্য করে বলবো যে, এই ধরনের রোগ গুলো মূলত তাদের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার পূর্বপুরুষ এই ধরনের জেনেটিক রোগে আক্রান্ত ছিল। কারণ যেহেতু এ ধরনের রোগ গুলো পূর্বের মানুষদের দেহ থেকে আসে। সেহেতু এই রোগ গুলো তাদের বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের পরিবারে আগে থেকেই কেউ এ ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিল।
মূলত আমরা সবাই জানি যে, একজন মানুষের শরীরে ২৬ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। কিন্তু কোন কারনে যদি একটি শিশুর শরীরে এই ক্রোমোজোমের সংখ্যা কম হয়। তাহলে কিন্তু এই ধরনের নানা প্রকারের রোগের দেখা দেয়। আর সেই রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডাউন সিনড্রোম, টার্নার সিনড্রোম, উইলিয়াম সিনড্রোম ইত্যাদি।
কয়েকটি জিনগত রোগের নাম
এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, জেনেটিক রোগ কাকে বলে। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে স্পষ্ট ভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি যে। জেনেটিক রোগ কাদের বেশি হয়। আর এবার আমি আপনাকে বেশ কয়েকটি জিনগত রোগের নামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। যেমন:
- হান্টিংটন’স ডিজিজ,
- মারফান সিনড্রোম,
- টিউবেরাউস স্ক্লেরোসিস,
- রেট সিনড্রোম,
- আইকারডি সিনড্রোম,
আমি বেশ কয়েকটি জিনগত রোগের নাম উল্লেখ করেছি। তবে এগুলো ছাড়াও আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের জিনগত রোগ দেখতে পারবেন। যে গুলো আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষের শরীরে দেখা যায়।