ঢাকা কিসের জন্য বিখ্যাত
ঢাকা জেলা বেনারসী শাড়ি, বাকরখানি এবং বিরিয়ানি এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়াও ঢাকা জেলার কিছু বিখ্যাত স্থান যেমন- ঢাকেশ্বরী মন্দির, মুক্তযুদ্ধ যাদুঘর, লালবাগ কেল্লা, চিড়িয়াখানা বাহাদুর শাহ পার্ক, রমনা পার্ক, জাতীয় সংসদ ভবন, শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থান আরো বিভিন্ন কিছুর জন্য ঢাকা বিখ্যাত।
Table of Contents
ঢাকা কিসের জন্য বিখ্যাত
ঢাকার পূর্ব নাম ছিল জাহাঙ্গিরনগর। ঢাকা নামটি ঢাকা বিভাগ, ঢাকা জেলা এবং স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের রাজধানীর নাম ঢাকার ইতিহাস ও বর্ণনার নেই কোনো সমাপ্তিরেখা। এক মহাসমুদ্রের বারিধারা নগর হিসেবে ঢাকার গোড়াপত্তন হয় ১৬১০ সালে। ২০১০ সালে ঢাকা শহরের ৪০০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয় এবং বর্তমানে ঢাকা শহর পঞ্চম শতাব্দী অতিক্রম করছে।
আমরা এখন এই পোষ্টে ঢাকা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত? ঢাকা জেলার নামকরণ। ঢাকা জেলা কেন রাজধানী? ঢাকা জেলার বিখ্যাত স্থান। ঢাকা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ইত্যাদি আরও নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
ঢাকা জেলার নামকরণ
ঢাকার নামকরণ নিয়ে হাজারো ইতিহাস ও ধারণা কথিত আছে। বলা হয় রাজা বল্লাল সেন নির্মিত ঢাকেশ্বরি মন্দির নামের ঢাক ঈশ্বরী থেকে ঢাকা শব্দের উৎপত্তি হয়। ঢাকার ইতিহাস যেন অতলস্পর্শী চাদর মুড়ানো ঠিক যেন নির্দিষ্ট গন্তব্যহীন পথের ভ্রমণকাহিনী।
১১৬০ খ্রীস্টাব্দ থেকে ১২২৯ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মাত্র ৬৯ বছর ঢাবাকা তথা ঢাকা জনপদ হিন্দু সেন বংশ দ্বারা শাসিত ছিল।দিল্লির সুলতান ইলতুৎমীশের আমলে পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপতি মালিক সাইফুদ্দীন আইবেক সেন বংশের অত্র অঞ্চলপ্রধান সূর্য সেনকে পরাজিত করে ১২২৯ খ্রীস্টাব্দে ঢাবাকা দখল করেন।ঢাবাকা শব্দটি তৎকালীন রাষ্ট্রভাষা ফারসি ভাষায় ঢাওয়াকা উচ্চারিত হতে স্বরবর্ণ ওয়াও উহ্য হয়ে পরবর্তী সময়ে চূড়ান্তভাবে উচ্চারণটি ঢাকা হয়ে যায়।
ব্রিটিশ আমল থেকে ঢাকার ইংরেজি বানান “Dacca” লেখা হতো। ১৯৮২ সালের ৪ই অক্টোবর প্রধান সামরিক প্রশাসক লে. জে. এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ঢাকা নামের ইংরেজি বানান “Dacca” থেকে “Dhaka” করা হয়।
কারও কারও ধারণা, অজানা লতাপাতা ও বৃক্ষে(বিশেষ করে ঢাক বৃক্ষ) আচ্ছাদিত বা ঢাকা স্থানকে পরিষ্কার করে এই শহর গড়ে তোলা হয় বলে এর নামকরণ করা হয় ঢাকা।
আবার ১৬০৮ সালে ঢাকায় প্রথম মুঘলদের পা পড়লে ১৬১০ সালে তৎকালীন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর কে সম্মান করে সুবেদার ইসলাম খান চিশতী তার জীবিত কাল পর্যন্ত ঢাকার নাম জাহাঙ্গীরনগর রেখেছিলেন। তখন ঢাকা প্রথমবারের মতো রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে।
এই নামটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭০ সালে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় যা পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভার এলাকায় প্রায় ৬৯৭.৫৬একর এলাকায় একটি সম্পূর্ণ আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এভাবেই ঢাকা নাম করন করা হয়।
ঢাকার কিছু বিখ্যাত স্থান:
ঢাকার কয়েকটি স্থানের জন্য ঢাকা বিখ্যাত। ঢাকার বিভিন্ন কিছুর জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। যেমন খাবারের জন্য, আত্মীয়তার জন্য, তবে বেশ বিখ্যাত হচ্ছে ঢাকার কয়েকটি বিখ্যাত স্থানে আছে। সেই বিখ্যাত স্থান গুলোর জন্য ঢাকা বিখ্যাত হয়ে উঠছে। এখন আমি সেই স্থানগুলির কয়েকটি স্থানের নাম উল্লেখ করব।
ঢাকার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান
এখন যে স্থান গুলোর নাম বলব। এই স্থান গুলো ঢাকার মধ্যে দর্শনীয় স্থান নামে পরিচিত। স্থানগুলোর নাম নিচে উপস্থাপন করে দিচ্ছি।
- ঢাকেশ্বরী মন্দির
- মুক্তযুদ্ধ যাদুঘর
- লালবাগ কেল্লা
- চিড়িয়াখানা
- বাহাদুর শাহ পার্ক
- রমনা পার্ক
- জাতীয় সংসদ ভবন
- শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থান
- শহীদ মিনার
- শহীদ মিনার
- বিজ্ঞান জাদুঘর
- সাতগম্বুজ মসজিদ
- তারা মসজিদ
- নন্দন পার্ক
- ফ্যান্টাসী কিংডম
এগুলো ছাড়া ঢাকার মধ্যে আরও বিভিন্ন স্থান আছে। যা দর্শনীয় স্থান বা বিখ্যাত স্থান নামে পরিচিত।মোট ৫টি উপজেলা নিয়ে ঢাকা জেলাটি গঠিত। এ জেলাটি দেশের প্রধানতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত। ঢাকা জেলায় বাংলাদেশের রাজধানী অর্থাৎ ঢাকা শহর অবস্থিত।
বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা জেলাটি অবস্থিত। ঢাকা জেলাটির আয়তন প্রায় ১৪৬৩.৬০ বর্গ কিমি। ঢাকা জেলাটির পশ্চিমে মানিকগঞ্জ, পূর্বে নারায়ণঞ্জ, দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ এবং উত্তরে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত।
ঢাকার মধ্যে এমন আরো অনেক কিছু আছে। যা আমরা জানি না। অনেক কিছু আমাদের অজানা রয়ে গেছে। ঢাকার মধ্যে কিছু বিখ্যাত স্থান, খাবার, বিভিন্ন কিছুর জন্য ঢাকার বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এখন সময় কম, তাই এটুকু লিখলাম পরবর্তীতে ”ইন শা আল্লা ” আরো বড় করে লেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সবাইকে।