হবিগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত
হবিগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত? প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া মুশকিল হয়ে পরে। বিভিন্ন কারণে হবিগঞ্জ বিখ্যাত। এর অনেক কিছুই আমাদের অজানা। এই পোষ্টটির মাধ্যমে হবিগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত সে বিষটি তুলে ধরব। আশা করব, আপনাদের ভালো লাগবে।
Table of Contents
হবিগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত
আমরা এখন জানবো, হবিগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত? হবিগঞ্জ কি কি কারনে বিখ্যাত? আমরা এখন জেনে নিব হবিগঞ্জ কেন এত বিখ্যাত?
হবিগঞ্জ জেলাটি আমাদের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। হবিগঞ্জ জেলায় রুপান্তর হয় ১৯৮৪ সালে। পূর্বে হবিগঞ্জ সিলেট জেলার অন্তর্গত ছিল। আয়তনে এর প্রায় ২৬৩৬.৫৮ বর্গ কিমি। হবিগঞ্জ জেলাটির পশ্চিমে রয়েছে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলা। পূর্বে অবস্থিত মৌলভীবাজার জেলা। দক্ষিনে ত্রিপুরা(ভারত)। উত্তর দিকে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা ও সিলেট জেলা।
হবিগঞ্জ জেলা চা এর জন্য বিখ্যাত। হবিগঞ্জ জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আমরা এখন হবিগঞ্জ জেলার ১০টি স্থান নিচে উপস্থাপন করব।
- বানিয়াচং প্রাচী রাজবাড়ির ধংসাবশেষ।
- ফয়েজাবাদ হিল বধ্যভূমি।
- সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট।
- লালচান্দ চা বাগান।
- বিতঙ্গল আখড়া আখড়া।
- সাতছড়ি চা বাগান।
- সাগরদীঘি, বানিয়াচং।
- বিবিয়ানা গ্যাস।
- ফরুটস ভ্যালি
- রাবার বাগান।
হবিগঞ্জ জেলাটি ৯টি উপজেলা নিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল বিস্তৃত। আরো বিভিন্ন কারনেও বিখ্যাত। নিচে সংক্ষিপ্ত বিবরন দিচ্ছি।
ক. যেসব জায়গার জন্য বিখ্যাত
১. মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যে প্রথম যে বৈঠক হয়েছিল এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল তেলিয়াপাড়া। এ কারনে হবিগঞ্জ বিখ্যাত হিসেবে গণ্য করতে পারি।
২. বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড যেখানে তিতাস গ্যাসফিল্ডের পর সর্বোচ্চ গ্যাস মজুদ রয়েছে। এ কারনে হবিগঞ্জ বিখ্যাত হিসেবে গণ্য করতে পারি।
৩. রেমা কালেঙ্গা বনটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এ কারনে হবিগঞ্জ বিখ্যাত হিসেবে গণ্য করতে পারি।
৪. সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এটির জন্য হবিগঞ্জ বিখ্যাত হিসেবে গণ্য করতে পারি।
৫. চুনারুঘাটের চাকলাপুঞ্জীতে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার বছরেরও পুরোনো যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে যা বাংলাদেশের অন্য কোথাও পাওয়া যায়নি। চুনারুঘাটে টারশিয়ারী যুগ (আদি যুগ) এর পাহাড়ের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
খ. যাদের জন্য বিখ্যাত
১. ডঃ এম. এ. রশীদ – বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ও সাবেক মন্ত্রী। এ কারনে হবিগঞ্জ বিখ্যাত হিসেবে গণ্য করতে পারি।
২. মুক্তিযুদ্ধে উপসর্বাধিনায়ক এম এ রব এমএনএ হবিগঞ্জের সন্তান ছিলেন।এর জন্য হবিগঞ্জ বিখ্যাত হিসেবে গণ্য করতে পারি।
৩. ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে।
৪.সৈয়দ মুজতবা আলী – প্রখ্যাত রম্য সাহিত্যিক।
৫. বারো ভূঁইয়াদের একজন (খুব সম্ভবত নাম ওসমান খাঁ অথবা হোসেন খাঁ) বানিয়াচঙের রাজা ছিলেন।
৬. বিচারপতি আব্দুল হাই। যিনি এদেশে সবচেয়ে কম বয়সে ফাঁসির রায় প্রদান করেন।
৭. সৈয়দ এ. বি. মাহমুদ হোসেন ও সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন (দুই ভাই) – সাবেক প্রধান বিচারপতি।
৮. রামনাথ বিশ্বাস – সাইকেলে চড়ে প্রথম বিশ্বজয়ী পর্যটক।
৯. বিপিন চন্দ্র পাল – ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব
১০. সুবীর নন্দী, সঞ্জিব চৌধুরী – সংগীত শিল্পী।
১১. জগৎজ্যোতি দাশ – স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি প্রদান (এটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে) পরবর্তীতে বীরবিক্রম স্বীকৃতি প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধে ভাটি অঞ্চলের ত্রাস দাশ বাহিনীর কমান্ডার।
১২.উম্মে আয়েশা খাতুন চৌধুরী – রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, দেশের প্রথম মহিলা যিনি কোনো শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন।
আর ও অনেক তথ্য অজানা। আরো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যেগুলোর কারণে হবিগঞ্জ বিখ্যাত। এখন সময় কম তাই এইটুকু লিখলাম। ইন শা আল্লাহ, আগামিতে আরো বড় করে লেখার চেষ্টা করব।